রোববার (২০ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির উদ্যোগে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, দেশের রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাষ্টিক, কৃষি এবং লেদার সেক্টরকে রফতানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সেক্টরের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে চায়। এজন্য এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ সেক্টরকে রফতানিমুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে প্রোডাক্ট অব দি ইয়ার-২০২০ ঘোষণা করেছেন। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। কর্মশালায় বিষয়ের উপর খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের কো-অর্ডিনেটর মো. আব্দুল রহিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক। এ কর্মশালায় শিল্প মালিক ও প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।