শুক্রবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ফেইসবুক পাতায় এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, বিকেলে জ্যাক মা ফাউন্ডেশন এবং আলিবাবা ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ৩০ হাজার করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিটের চালানটি হস্তান্তর করেছে।
চীন থেকে ছড়াতে শুরু করার তিন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার পেয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। তবে নানা কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে চীন নিজেদের সীমানার ভেতরে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এখন সহায়তা করছে তারা।
বৃহস্পতিবার ১০ হাজার টেস্ট কিট, চিকিৎসক-নার্সদের জন্য ১০ হাজার পিপিই, ১৫ হাজার এন৯৫ মাস্ক এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার পাঠিয়েছিল চীন সরকার।
আর বাংলাদেশে কভিড-১৯ রোগী পাওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ৫০০ টেস্ট কিট পাঠিয়েছিল চীন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চীন থেকে ৪০ হাজার ৫০০ টেস্ট কিট পেয়েছে বাংলাদেশ।
চীন যখন বিপদে ছিল, সেই সময়ে ‘বন্ধুত্বমূলক সহায়তা’ হিসাবে ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেইস মাস্ক, দেড় লাখ মাথার ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজার শু কাভার এবং ৮ হাজার গাউন পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন নিজেদের পরিস্থিতি সামলে ওঠার পর গত শনিবার এক টুইটে জ্যাক মা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশকে মাস্ক ও পরীক্ষার কিটসহ সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার ঘোষণা দেন।