খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
মানুষের কাছে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে সরকার এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (২২ জুন) সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা খসড়া মনিটরিং রিপোর্ট, ২০২১’ পর্যালোচনা ও অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সন্তোষজনক। ২০১৬ সাল থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালে কর্সমূচির মেয়াদ ১ মাস বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের ৪২ লাখ মানুষের কাছে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করেছে সরকার।’

পরোক্ষভাবে যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তা যাতে পায় সে লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুডপ্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী। গবেষণা পরিচালক হাজিকুল ইসলাম ২০২১ সালের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।

রিপোর্টের ওপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মেহরাব বখতিয়ার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ললিতা ভট্টাচার্য, রবার্ট সিম্পসন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদ ইউনুস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেহের নিগার ও কোয়েন মতামত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা হলো বিভিন্ন খাতওয়ারি তহবিল সঞ্চালনের মাধ্যমে গৃহীতকর্ম পরিকল্পনা। সব নাগরিকের জন্য নির্ভরযোগ্য ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের পর্যাপ্ত ও নিয়মিত সরবরাহ, বর্ধিত ক্রয়ক্ষমতা ও খাদ্যগ্রহণের সক্ষমতা এবং নারী ও শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টির নিশ্চয়তাকে বিবেচনা করে সরকার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তাখাতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা সিআইপি-১ (২০১১-২০১৫) প্রণয়ন করে। সে ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা সিআইপি-২ (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট প্রতি বছর এ রিপোর্ট প্রকাশ করে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু