ওই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে নগদ জমা, নগদ উত্তোলন ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের পাশাপাশি ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি), পে-অর্ডার ইস্যু করতে পারবে। এছাড়া একই ব্যাংকের একই শাখায় থাকা বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে।
লকডাউনের মধ্যে গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখা হবে না। সীমিত আকারে দূরত্ব বিবেচনা করে ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে শাখা খোলা রাখবে।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান, টাকা স্থানান্তর, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে টানা ১০ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীমিত আকারে ২ ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে।
তবে সার্বক্ষণিকভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথগুলো খোলা থাকবে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নগদ টাকা সরবরাহ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন বা কেনাকাটা করতে পারবেন। চালু থাকবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোও।
অনলাইন লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) ছুটিকালীন সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এর মধ্যে যেসব লেনদেন হবে সেগুলোর অর্থ দেনা-পাওনার হিসাব সম্পন্ন হবে ছুটির পরের প্রথম কার্যদিবসে। এর ফলে গ্রাহকদের অনলাইনে ব্যাংকিং লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না। সার্বক্ষণিক অনলাইনে লেনদেন করা যাবে।