শনিবার (২৬ জুন) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এদেশের ব্র্যান্ডেড অত্যাচারী ও জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী রাজনৈতিক দল। বিএনপির বর্তমান যেমনি হতাশাগ্রস্ত তেমনি ভবিষ্যতও কুয়াশাচ্ছন্ন। সংকটের অক্টোপাস বিএনপিকে জেঁকে ধরেছে।
তিনি বলেন, নেতাদের হঠকারিতায় তাদের রাজনীতি এখন গভীর খাদের প্রান্তে অবস্থান করছে। বিএনপি তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে আবোল-তাবোল বকছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করলে বিএনপির পেটের ভাত হজম হয় না।
দেশে এখন চরম দুঃসময় চলছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ নয়, চরম দুঃসময় চলছে এখন বিএনপির রাজনীতিতে।
তিনি বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, নির্বাচনবিমুখতা এবং অগণতান্ত্রিক চর্চা বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করছে দিন দিন। নেতাকর্মীদের হতাশাকে করেছে দীর্ঘায়িত এবং নেতিবাচক ও অপরাজনীতিও তাদের করে তুলছে জনবিচ্ছিন্ন।
‘সরকার জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তাদের চিরাচরিত কল্পিত অভিযোগের ফানুস ওড়ানো নিত্যদিনের রুটিন।
এ সময় মহামারির এ আগ্রাসী রূপ ঠেকাতে এবং নিজের সুরক্ষায় সচেতনতার সর্বোচ্চ নজির স্থাপন করার আহবান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতায় সরকার সোমবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একগুঁয়েমি এবং অবাধ চলাচল পরিস্থিতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। তাই এ অবস্থায় ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। সামান্য অবহেলায় জীবন হতে পারে বিপন্ন।
মানুষের জীবনের সুরক্ষায় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রতিপালনে জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রশাসন ও পুলিশকে ফাঁকি দেওয়া যায়, কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা আমাদের জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে।