এনআরবিসি ব্যাংকের লভ্যাংশ অনুমোদন

এনআরবিসি ব্যাংকের লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ২০২০ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ট।

শনিবার (২৬ জুন) কোম্পানির ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা এ লভ্যাংশের অনুমোদন দেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া, সকল পরিচালক, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অংশ নেন। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।



এছাড়াও এজিএমে গত বছরের ব্যালান্সশিট, ৪ চারজন পরিচালকের পুনর্নির্বাচিতসহ সব আলোচ্যসূচি বিনিয়োগকারীদের ভোটে অনুমোদিত হয়।

এনআরবিসি ব্যাংক জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে কোম্পানির আর্থিক সূচকগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত ৭ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২০.৬৭ শতাংশ। গত বছর শেষ ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা; আগের বছর যা ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। নিট মুনাফা ১১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। এছাড়াও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা।

কোম্পানির খেলাপি ঋণের হার মাত্র ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করে আর্থিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকটি।

এজিএমে আলোচনায় জানানো হয়, সরকারের রাজস্ব আহরণ থেকে শুরু করে সকল কাজে অংশীদার হওয়া। জনগনের টাকা জনগনের কাছে সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। এই লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে মাইক্রোক্রেডিট স্কিম। পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ে এই স্কিমের আওতায় আগামী ১ বছরে ১ লাখ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা নিজেদের কর্মের ব্যবস্থা করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং করোনা বিস্তার রোধে ওষুধ বিতরণ, পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোভস, অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মকা- পরিচালনা করে মানবিক ব্যাংকের উপাধি পেয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এজিএমে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক শুধু একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকটি কাজ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে যার উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ১ লাখ মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সোনারবাংলা গড়ে তোলা। সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সাকিব আল হাসান বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি। এই ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষ ও সফল প্রবাসী উদ্যোক্তারা। সঠিকভাবে পরিচালনার কারণে খেলাপি ঋণ অনেক কম। আমরা প্রত্যাশা করি ব্যাংকটি আরও ভালো করবে। বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করছি।

এনআরবিসি ব্যাংক জানায়, করোনাভাইরাসের সংকটের সময় তাদের সেবা পৌঁছে যাচ্ছে জনগণের দোরগোড়ায়। এজন্য শাখা, উপশাখা, বুথসহ অন্যান্য সেবাকেন্দ্র সারাদেশে চালু করা হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের কাজে অংশীদার হতে ট্রেজারি চালান গ্রহণ করছে ব্যাংকটি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা দাঁড়িয়েছে ৮৩, উপশাখা রয়েছে ৪৫০টি, এর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ কালেকশন বুথ, পল্লী বিদ্যুতের বিল কালেকশন বুথ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে বুথ ও ডিপিডিসি ও ডেসকোতে বিল কালেকশন বুথ। এছাড়া সারাদেশে ৫৯৬টি এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে ব্যাংকটির। জনগণের সেবায় সমস্ত কর্মকাণ্ড নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত