রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দফতর/সংস্থার সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আমের ব্যবসা করতে দিতে হয়েছে, আমাদের গাড়ি চালাতে দিতে হয়েছে। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের ভ্যাকসিনেট করতে হচ্ছে, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছে। সব কাজই আমাদের একসঙ্গে করে যেতে হচ্ছে। আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও বজায় রাখতে হচ্ছে। রোগী বাড়ছে, তাদেরকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আমাদের কাজের কোনই কমতি নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বললাম, সামনে লকডাউন আসছে। সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন যেটা বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ লকডাউন। আমরা জানি আমাদের কোনো লকডাউন নেই। আমাদের দরজা তো বন্ধ হবেই না, জানালাও খুলে দিতে হবে। যেহেতু কিনা আমাদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’
‘আমরা আশা করবো যে যেখানে আছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। স্যানিটাইজ করবেন এবং লকডাউনটা আপনারা মেনে চলবেন। যদি আমরা না মানি আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেও মুশকিল হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৫ থেকে ৬ হাজার বেড অলরেডি রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি, সেই জনসংখ্যাকে যদি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয়, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ সুরক্ষিত থাকবে। আমরা যদি করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশে যারা যায় সেই জায়গাটা ব্যাহত হবে। অন্যদেশ আমাদের ভিসা দিতে চাইবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনের লকডাউনে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। যাতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যাও কমিয়ে আনতে পারি।’