বোম্ব এক্সপ্লোশন ইউনিট নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান আইজিপি।
সোমবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে মগবাজারের ওই ভবন পরিদর্শনের আসেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় (সোমবার) মগবাজারে একটি মারাত্মক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানি হয়েছে। পথযাত্রী, দোকানের কাস্টমার কর্মচারী ও শিশুসহ ৬ জনকে হারিয়েছি। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এবছর যদি খেয়াল করেন, অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে মসজিদে, শনিরআখড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি করেছে। তবে আমাদের ফায়ার এক্সপ্লোরেশন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস মিলে পুলিশের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিটি করে তদন্ত করবো। আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। আমরা চাই এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে।
এটা কোনো নাশকতা কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বড় ধরনের একটা শকড ওয়েভ তৈরি হয়েছিল, এখন পর্যন্ত এই বিস্ফোরণ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে না। গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে। এখনও ভবনের ভেতরে মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। একমুখী ধ্বংসযজ্ঞ, নাশকতা বা বিস্ফোরণ হলে চর্তুমুখী বিস্ফোরণ হতো। আমরা চারদিকে কাচের টুকরো দেখছি। ভেতরে গ্যাসের অস্তিত্ব ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখনও মনে হচ্ছে কোনো নাশকতা নয়।
এর আগে সোমবার বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এসময় তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রমুখ।
রোববারের ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ৭ জন মারা গেছে। দগ্ধ হয়ে ১৭ জন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, মোট ৬৬ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়ার গেছে। এর বাইরে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।