এ মেলায় ৯টি দেশের দূতাবাস ও ট্রাভেল এজেন্সিসহ মোট ২৬টি দেশ অংশ নেয়। ২০১২ সাল থেকে এ মেলায় বাংলাদেশ নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। কিন্তু করোনার কারণে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এ বছর মেলায় অংশ নিতে না পারায় দূতাবাস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে।
২৪ জুন কোরিয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের (কোটফা) চেয়ারম্যান শিন জং-মক মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামসহ মেলায় অংশগ্রহণ করা অন্য রাষ্ট্রদূতরা, কিয়ংসাংবুক-দো কালচার এবং ট্যুরিজম করপোরেশনের সভাপতি, জেজু ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, কোরিয়া ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, কোটফার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অন্যান্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কোটফা চেয়ারম্যান মেলার বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও বুথ পরিদর্শন করেন। তারা বাংলাদেশের বুথ পরিদর্শনে এলে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাদের স্বাগত জানান। এ সময় তিনি শিন জং-মককে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী উপহার দেন। পরিদর্শনকারী ব্যক্তিরা বুথে প্রদর্শিত বাংলাদেশি হস্তশিল্পের প্রশংসা করেন।
পরে তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রদূত শরিফজোদা ইউসুফের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাসের অন্য সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশের বুথটি উদ্বোধন করেন। একই দিন মেলার মূল মঞ্চে দূতাবাসের প্রথম সচিব সামুয়েল মুর্মু বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলো নিয়ে একটি মনোগ্রাহী উপস্থাপনা করেন। এরপর স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গীত পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে।
চারদিন ব্যাপী এই মেলায় প্রায় ৪০০ কোরিয়ান ও বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশ দূতাবাসের বুথ পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন স্থান সম্পর্কে আগ্রহ দেখান। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান এবং ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী সংক্রান্ত লিফলেট পোস্টার, ব্রোসিয়ার ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনেকে বুথে প্রদর্শিত ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি পোশাক পরা ম্যানিকুইনদের সঙ্গে ছবিও তোলেন। তাছাড়া দুজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে মেহেদি পরিয়ে দেন, যা অনেক আগত দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
২০২১-সিটিফ মেলায় বাংলাদেশের সফল অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে আরও অধিক সংখ্যক বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী করে তুলবে বলে আশা করছে দূতাবাস।