সোমবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-বিএনআরসির উদ্যোগে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরায় লুণ্ঠনের এক নতুন ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনও বড় ভূমিকা পালন করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে রাজনৈতিকভাবে সমাধান আনতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা সত্য যে, আইনগত দিক বলুন, আর সাংবিধানিক দিক বলুন- এ সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই। এ ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর সেজন্য আজ প্রয়োজন ঐক্য, জনগণের ঐক্য। সব রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বিএনআরসির পরিচালক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ পরিচালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার ও ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ।