মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে এ বিল পাস হয়।
সংসদে বাজেট প্রস্তাবনার ওপর আনিত সংশোধনী নিয়ে আলোচনার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অর্থ বিল পাস করার জন্য সংসদ সদস্যদের কাছে কণ্ঠভোট আহ্বান করেন। সংসদজুড়ে ‘হ্যাঁ’ শব্দ শোনা যায়। ‘না’ এর পক্ষে কেউ ভোট দেননি।
পরে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা বহু দূর যেতে চাই। পাকিস্তানও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি পাল্টে গেছে, লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি যখন এমন করুণ, সে অবস্থাতেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অতটা খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছরের বাজেট দেশের মানুষের জন্য। তাই, সব জেনে-শুনেই আমরা কঠিনকে ভালোবেসেছি। আশা করি, এবারের বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষম হবো।’
এর আগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন।
সরকারি ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অর্থ বিলের বিভিন্ন অংশে সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক, মশিউর রহমান রাঙার কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে এগুলো ভোটে দিলে তাও কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট সংসদে পেশ করেন। ওই দিন তিনি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও পেশ করেন। গত ৭ জুন সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৩তম বাজেট এটি। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বারের মতো বাজেট পেশ করেন।