মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী ১ জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্কের সঙ্গে এসব দেশের বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। সম্প্রতি কিছু দেশে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তুরস্ক সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দেশটির দৈনিক ইয়েনি শাফাকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ওই ছয় দেশ থেকে স্থল, আকাশ, সমুদ্র অথবা রেলপথে যেকোনও ধরনের সরাসরি প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। অন্য দেশের নাগরিকরা গত ১৪ দিনে এই ছয় দেশের যেকোনও একটিতে থাকার পর তুরস্কে পৌঁছালে তাদের সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
এছাড়া তুরস্কে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সরকার পরিচালিত স্থাপনায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে আবারও করোনার নেগেটিভ পরীক্ষার দরকার হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে আইসোলেশনে রাখা হবে এবং ১৪ দিন পর আবারও করোনা পরীক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে যারা তুরস্কে আসবেন অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে এই দেশ দুটিতে ছিলেন— তাদের তুরস্কে পৌঁছানোর পর ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, ইরান, মিসর এবং সিঙ্গাপুর থেকে আসা যাত্রীদের গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে তুরস্কে এখন পর্যন্ত ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ৩১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা ড়েছেন ৪৯ হাজার ৬৩৪ জন।
সূত্র: ইয়েনি শাফাক, রয়টার্স।