মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বিল পাস হয়।
বিলে সুযোগ রাখা হলেও চলতি বছরের মতো ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করা যাবে না। শেয়ারবাজার, ফ্ল্যাট ও জমি কেনা, সঞ্চয়পত্র আরও কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই কেবল এই সুযোগ প্রযোজ্য হবে। এর বাইরে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রযোজ্য হবে। এ খাতে করও গুণতে হবে কম।
শেয়ারবাজার, ফ্ল্যাট ও জমি কেনা, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতে হলে আগামী বছর কর গুণতে হবে চলতি বছরের চেয়ে বেশি হারে। এসব খাতে কালো টাকা সাদা করার জন্য ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ জরিমানা থাকবে। চলতি বছরের বাজেটে শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
তবে শিল্প-কারখানায় স্থাপনে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চলতি বছরের মতো ১০ শতাংশ কর দিয়েই কালো টাকা সাদা করা যাবে।
গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থ বছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেছিলেন তাতে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েকটি খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থবিল পাস হয়।
অর্থবিল পাসের সময় সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের সদস্যরা সব সময় কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করে আসছেন। তাদের মতে, এই সুযোগ দুইভাবে সমাজ ও অর্থনীতির ক্ষতি করছে। প্রথমতঃ কালো টাকা সাদা করার সুযোগের কারণে আর্থিক অপরাধ বেড়ে যায়, অপরাধীরা ও আরও উৎসাহী হয়। অন্যদিকে এটি দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমনের মতো। এতে কর ফাঁকিবাজরা উৎসাহ পায়, অন্যদিকে সৎ করদাতারা উৎসাহ হারায়।