মঙ্গলবার (২৯ জুন) দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য ৮২ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসাবে দেশের এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়।
চলতি মাসে জুনের শুরু থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ১৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা তার আগের বছর (২০২০ সাল) একই মাসের থেকে ১০ কোটি ডলার বেশি। গত ২০২০ সালের জুন মাসে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, অর্থবছরের শুরু থেকে দেশে এখন পর্যন্ত (২৮ জুন) দুই হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। হিসাব বলছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ৩৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, আসন্ন ঈদকে (কোরবানির ঈদ) সামনে রেখে প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রতি বছরেরই দুই ঈদের আগে অন্য সব মাস থেকে রেমিট্যান্স বেশি পাঠান রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
এর আগে, চলতি বছরের বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ১ জুন (মঙ্গলবার) দিনশেষে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে। তার আগে ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৪৪ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।
অন্যদিকে রিজার্ভে রফতানি আয়েরও প্রভাব আছে। চলতি বছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রফতানি থেকে ৩৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশ, যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ মাসে (জুলাই-মে) তিন হাজার ৯৫ কোটি ৯১ লাখ (৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল।