এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ঠিক মুভমেন্ট পাস বলতে যা বুঝায় তা ইস্যু করা হয়নি। কারণ বিএসইসির এই ধরনের পাস ইস্যু করার সুযোগ নেই। আমরা এক ধরনের প্রত্যায়নপত্র ইস্যু করেছি, যা থেকে বুঝতে পারা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পুঁজিবাজারের জরুরি কাজের সাথে যুক্ত। তবে সব কর্মকর্তার জন্য এটি ইস্যু করা হয়নি। যারা লেনদেন পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যক, শুধু তাদের জন্যই এটি ইস্যু করা হয়েছে।
এছাড়ও তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারহাউজগুলোকে সীমিত জনবল দিয়ে অফিস চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে টেলিফোন, ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচার আদেশ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবেই স্বশরীরের ব্রোকারহাউজে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করতে পারবেন না।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে পরবর্তী ৭ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। সরকার অবশ্য এটিকে কঠোর বিধিনিষেধ বলছে। আজ বুধবার (৩০ জুন) সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
এবারের লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। লকডাউনের নির্দেশাবলী ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।
এমন কঠোর লকডাউনেও খোলা থাকছে পুঁজিবাজার। কিন্তু লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পুঁজিবাজার খোলা রাখার বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজসহ স্টেকহোল্ডারদের অনেকেই পুলিশি হয়রানির আশংকা করছেন। এমন অবস্থায় তাদের চলাচলকে সহজ করতে এক ধরনের ‘মুভমেন্ট পাস’ ইস্যু করেছে বিএসইসি। এই পাস দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা-কর্মচারিরা লকডাউনকালীন সময়ে চলাফেরা করতে পারবেন।
এছাড়া জানা যায়, এই বিএসইসির ইস্যু করা প্রত্যায়নপত্রকে মুভমেন্ট পাস হিসেবে বিবেচনা করে সহায়তা করার জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদের সাথে আলোচনা করেছেন। আইজিপি এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।