এখন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যুক্ত চিকিৎসকদের সুরক্ষা পোশাক তৈরির কাজে হাত দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পিপিই তৈরির চিন্তা এসেছে কারখানা মালিকদের।
বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক রোববার এক বার্তায় বলেন, বাংলাদেশে এতদিন পর্যন্ত মেডিকেল গ্রেড বা ডব্লিউএইচও স্ট্যান্ডার্ডের পিপিই তৈরি হত না। এখন জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ের (লেভেল ওয়ান) ২০ হাজার পিপিই তৈরি করতে গিয়ে তারা দেখছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে লেভেল ৩/৪ বা চিকিৎসকদের ভাইরাসপ্রতিরোধী পিপিই তৈরির ‘সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব’।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বাংলাদেশে ধরা পড়ার পরই চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পিপিই না পেয়ে দেশের অনেক স্থানে চিকিৎসকরা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
মহামারীর কারণে সারা বিশ্বেই বেড়ে গেছে পিপিইর চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ২০ হাজার পিপিই তৈরির উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। সংগঠনটির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন কারখানা স্ব উদ্যোগী হয়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য এই পোশাক তৈরি করে দিচ্ছে। আর এতে ফেব্রিক্স ও অন্যান্য কাচামাল দিয়ে সহায়তা করছে পোশাক কারখানার বাইরের কিছু সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমাদের দেশের পোশাক প্রস্ততকারকরা সাধারণত পিপিই তৈরি করেন না। মেডিকেল গ্রেড বা ডব্লিউএইচও স্ট্যান্ডার্ডের ফেব্রিক চীন থেকে আমদানি করতে হয়। হাসপাতালে ব্যবহারের উপযোগী পিপিই তৈরি করতে হলে কারখানাগুলোতে বায়ু প্রতিরোধী সেলাই মেশিনসহ আরও কিছু যন্ত্রপাতি বসাতে হবে। এছাড়া কারখানায় জীবাণুপ্রতিরোধী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কর্মীদেরকে কিছু প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সনদ অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশি কারখানাগুলোর জন্য এই কাজগুলো করতে অন্তত ছয় মাস সময় প্রয়োজন।