রোববার (০৪ জুলাই) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল হাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, ডেইরি মালিক সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার স্টোর পদ্ধতি চালু হয়েছে। গ্রাহক যখন গরু পেয়ে যাবেন, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা রিলিজ হবে। অনলাইনের মাধ্যমে গরু কিনতে পারবেন, বুকিং করে দিলে জবাই দিয়ে বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে। এক হাজার গরুর টার্গেট নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গতবার ডিজিটাল হাটে তিন সপ্তাহে ২৭ হাজার বিক্রি করতে পেরেছি। এবার এক লাখ বিক্রির টার্গেট। এক লাখ বিক্রি করতে পারলে ন্যূনতম পাঁচ লাখ লোক গরুর হাটে যাবে না। এছাড়া মানবসেবা প্ল্যাটফর্মে চামড়া বিক্রি করে মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ এবং সাভার থেকেও কেউ চাইলে এই ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনতে পারবেন বলে জানান মেয়র।
এর আগে, গত বুধবার (৩০ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে। ডব্লিওটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় ডিজিটাল হাটে পশু ক্রয় বিক্রয় ও স্লটারিং সেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে এবারের ডিজিটাল কোরবানির হাট বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। এতে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে সরকারের এটুআই প্রকল্পের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘একশপ’।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ জুলাই দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সে অনুযায়ী গত ১৯ মে ১০টি অস্থায়ী পশু হাট ইজারা দিতে পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করেছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।
এ ছাড়া গাবতলীর স্থায়ী পশুহাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে হাটের সংখ্যা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা।