১৯৯৪ সালে নিজের গ্যারাজে অলনাইন বুক স্টোর হিসেবে অ্যামাজনের সূচনা করেছিলেন বেজোস। শুরুটা ছোট আকারে হলেও, পরবর্তীকালে তার প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন রিটেইল সংস্থা হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের প্রায় সব ধরনের পণ্যই পাওয়া যায় অ্যামাজনে। এছাড়া অনলাইন স্ট্রিমিং, সঙ্গীত ও টেলিভিশন, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়ের সঙ্গেও যুক্ত অ্যামাজন।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থার শেয়ারহোল্ডারদের বেজোস জানিয়েছেন, ‘৫ জুলাই আমার কাছে বিশেষ দিন। আমরা ২৭ বছর আগে এই দিনেই অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। অ্যামাজনের সিইও হওয়া গভীর দায়িত্বপূর্ণ। এই দায়িত্ব গ্রাস করে নেয়। আমার যখন পাঁচ বছর বয়স ছিল, তখন থেকেই মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি। ২০ জুলাই আমি ভাইয়ের সঙ্গে সেই যাত্রায় যাব। এটাই আমার জীবনের সেরা অ্যাডভেঞ্চার হবে।’
অ্যামাজনের সিইও-র পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বেজোস এবার অ্যামাজনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। তিনি নতুন পণ্য এবং সংস্থার হয়ে নানা ধরনের উদ্যোগের বিষয়টি দেখবেন। ‘বেজোস আর্থ ফান্ড’, ‘ব্লু অরিজিন স্পেস শিপ কোম্পানি’, ‘অ্যামাজন ডে ওয়ান ফান্ড’, ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর কাজে এবার বেশি সময় দিতে চান তিনি।
এ বছরের এপ্রিলেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্বীকৃতি পান বেজোস। তিনি টানা চারবার এই খেতাব পেলেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বেজোসের পদত্যাগের পর অ্যামাজনের নতুন সিইও হচ্ছেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের প্রধান অ্যান্ডি জেসি। ১৯৯৭ সালে অ্যামাজনের মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন জেসি। ২০০৩ সালে তিনি এই সংস্থার হয়ে ক্লাউড সার্ভিসেস ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অ্যামাজনের অন্যতম লাভজনক বিভাগ।