শনিবার (১০ জুলাই) সকালে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কৃষিপণ্যের রফতানি সহায়ক বিএডিসির হিমাগার পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ছিল না, আমরা সেটি স্থাপন করেছি। সেখান থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে। আম রফতানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের রফতানি মূলত গার্মেন্টসনির্ভর। শুধু গার্মেন্টসনির্ভর থাকলে হবে না; বরং রফতানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের রফতানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধিতেও গুরুত্ব সহকারে কাজ করা হচ্ছে।
এ সময় কৃষিপণ্যের রফতানির জন্য বিমানবন্দরে বিএডিসির হিমাগারের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ফলমূল ও শাকসবজি রফতানির সময় বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডেলিং, স্পেস ও কার্গো ভাড়া প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ফলমূল ও শাকসবজি রফতানিকারক প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে কৃষিপণ্যের জন্য আরও রফতানিবান্ধব ও সহজতর করতে কাজ চলমান আছে।
সভায় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।