বেতন-বোনাসসহ ৮ দফা দাবি হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের

বেতন-বোনাসসহ ৮ দফা দাবি হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের
চলমান বিধিনিষেধে জর্জরিত হোটেল রেস্টুরেন্ট সেক্টরে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক। ওইসব শ্রমিকদের সংকট-সমস্যায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বেতন-বোনাস ও ত্রাণ-প্রণোদণাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে- ডিসপজিবল গ্লাস-প্লেট ব্যবহার ও সঠিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন সাপেক্ষে খাবার প্রতিষ্ঠানে বসে খাবার খাওয়া চালু করা; করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে প্রণোদনা হিসেবে মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা সরাসরি সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের প্রদান করা; হোটেল শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ মজুরি, উৎসব ভাতাসহ প্রাপ্ত সকল সুযোগ-সুবিধা ও বকেয়া মজুরি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; মহামারি দুর্যোগের এই সময় হোটেল সেক্টরে কোন লে-অফ, অব্যাহতি বা ছাঁটাই না করা ও এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট পরিপত্র জারি করা; যেসব শ্রমিক ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের আইসোলেশন ও যথাযথ চিকিৎসার সমুদয় দায়িত্ব সরকার ও মালিককে বহন করা; সকল হোটেল শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন মূল্যে পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা; কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহ ঝুঁকি ভাতা ও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং করোনাকালীন সময়ে শ্রমিকদের বাড়ি ভাড়া মওকুফের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত প্রায় দুই বছর ধরে চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা এক দুর্বিসহ অবস্থায় পড়লেও শ্রমিকদের দায়িত্ব কেউ গ্রহণ করছে না। ফলে এ সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনযাপন আজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। চলমান লকডাউনের কারণে হোটেল রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে এ খাতের কর্মরত শ্রমিকরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে হোটেল মালিকরা শ্রমিকদের মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান না করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়। এমনকি মালিকরা বিগত ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতাও প্রদান করেনি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা দুর্যোগের বিশেষ পরিস্থিতিতে মালিকরা শ্রমিকদের ছুটি প্রদান করছে। ফলে বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা সকলেই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক মজুরিসহ অন্যান্য সুবিধার অধিকারী হলেও মালিকরা তা প্রদান না করায় হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে এক মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু