পাশাপাশি শিপমেন্টের অপেক্ষায় থাকা পণ্য নেবেন বলেও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এর ফলে বাতিল হওয়া ৩০০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ এর পরিমাণ কমে যাবে।
বুধবার এক বার্তায় তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, এইচএন্ডএম, ইন্ডিটেক্স, পিভিএইচ, টার্গেট এবং কিয়াবির মতো নামিদামি ক্রেতা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের ক্রয়াদেশ বহাল রাখার কথা জানিয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল সিএন্ডএ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে। এটা আমাদের জন্য একটা সুসংবাদ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশাদার পিপিই দেওয়ার জন্য অনুদান হিসেবে তাদের একদিনের বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা আশাকরি দীর্ঘকাল ধরে যারা আমাদের সঙ্গে আছেন, কঠিন এই দুঃসময়ে তারাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা এই আপদকালীন সময়ে অর্থ প্রদানে ক্রেতাদের শর্তগুলো শিথিল থাকবে।
এদিকে, সুইডেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশে তারা যে পোশাকের অর্ডার দিয়েছে তা বাতিল করবে না। এ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা অর্ডারগুলোর ডেলিভারি নেবে।
বিজিএমইএ’র সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৮২টি কারখানার ৯৩ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজারটি পোশাক পণ্যের রফতানি আদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ২ দশমকি ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৫ হাজার কোটি টাকা, বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)।