শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু আইপি টিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হয়। আবার দেখা যায় অনুমোদন পাবার আগেই কেউ কেউ টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অফিস খুলে বসেছে, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে। এসব বিষয়কে একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন।'
‘সারা দেশব্যাপী ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি খুলে যার যেমন ইচ্ছা তেমন করবে, সেটা কখনও আইনসম্মত বা বাঞ্ছনীয় নয়। ভালো মানের আইপি টিভি অনুমোদন পাবে। যেগুলোর বিষয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে সহসাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘মন্ত্রণালয় আইপি টিভিগুলোর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিল। প্রায় পাঁচ শতাধিক দরখাস্ত জমা পড়েছে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজও আমরা গুছিয়ে এনেছি। যেগুলোর মান ভালো, সেগুলোর রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হবে।’
এ সময় জয়যাত্রা নামের আইপি টিভি পরিচালনাকারী হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁকফোকর দিয়ে দলের উপ-কমিটিতে এ ধরনের কারো ঢোকা সমীচীন হয়নি। এদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। যারা সুপারিশ করেছেন, তাদেরও আরো জানা-শোনার দরকার ছিল। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তার আইপি টিভির বিষয়ে অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তথ্যমন্ত্রী এরপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন।