বুধবার এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে গুগলের পক্ষ থেকে। প্রতিষ্ঠানটির ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি কর্মীর কাছে পাঠানো ইমেইলে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দার পিচাই বলছেন, আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল সেপ্টেম্বর ১ তারিখ থেকে বেশিরভাগ কর্মীকে অফিসে ফিরিয়ে আনা। তবে এখন সেই তারিখ ১৮ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
গুগলের কয়েক হাজার কন্ট্র্যাক্টরের ক্ষেত্রেও একই বিধি প্রযোজ্য হবে।
ওই একই ইমেইলে কর্মীদের সবাইকে করোনার টিকা নিতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পিচাই। প্রধান কার্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কার্যালয়গুলো দিয়ে এ বিধান কার্যকর শুরু হবে। ধীরে ধীরে ৪০টি দেশে গুগলের বাকি কার্যালয়গুলোর ক্ষেত্রেও এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন অধ্যাপক ড. লিয়েনা ওয়েন বলছেন, ঠিক এ ধরনের পদক্ষেপই নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে কর্মী ও তাদের পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কারো জন্যই এটা ঠিক না যে কর্মস্থলে ফিরে টিকা না নেওয়া সহকর্মীর গা ঘেঁষে বসে কাজ করা। টিকা না নেওয়া সহকর্মীর মাধ্যমে নিজেও সংক্রমিত হয়ে কেউ হয়তো তার পরিবারের সদস্যদেরও সংক্রমিত করে ফেলতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু সরকারি এজেন্সি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তাদের কর্মীদের অবশ্যই টিকা নিতে হবে। কিন্তু কর্পোরেট বিশ্ব বিষয়টি নিয়ে একেবারে মেপে পা ফেলছে।
সুন্দার পিচাই তার পাঠানো ইমেইলে লিখেছেন, সামনের দিনগুলোতে নিজেদের ও আশপাশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে টিকা নেওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি।
গুগলে যারা চাকরি করছেন তাদের মধ্যে কতজন এখনও করোনার টিকা নেননি, সে বিষয়টা পরিষ্কার নয়। তবে পিচাই তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টিকা নেওয়ার হার ভালো বলে জানিয়েছেন।
গুগলের আগে কর্মীদের অফিসে ফেরার তারিখ পিছিয়েছে প্রযুক্তিখাতের আরেক বড় প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। তারাও অফিসে ফেরার তারিখে সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে অক্টোবরে নিয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন করোনাকে মহামারি ঘোষণা করেনি, তারও আগে থেকে গুগল, অ্যাপল ও প্রযুক্তিখাতের আরও বড় কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়। তখন থেকে ‘হোম-অফিস’ শুরুর পর এবার দিয়ে তৃতীয়বারের মতো অফিস পুরোদমে খোলার সিদ্ধান্ত পেছাল গুগল।
সূত্র : এপি।