ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬টি নমুনা সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরীক্ষা করেছে। আইইডিসিআরের বাইরে পরীক্ষা করা ৩টি নমুনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের আইসোলেশন শুরু হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসাধীন ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ২২ জন। বাড়িতে পূর্ণ পর্যবেক্ষণে আছেন ৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে এবং ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন আমাদের দেশে ১৪ থেকে ১৫টি জায়গায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরও পরীক্ষার জায়গা বাড়ানোর কাজ চলছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বড় হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ...জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত যে অ্যাম্বুলেন্স আছে, সেগুলো ব্যবহার করবেন। আমাদের আশপাশের দেশগুলোও ভালো আছে। কোয়ারেন্টিন, ঘরে থাকার নিয়ম মেনে চললে আমরা প্রতিরোধ করতে পারব।’
এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা জরুরি বলে যাঁরা সন্দেহ করছেন, তাঁদের পরীক্ষার জন্য আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিটসের কোনো সংকট নেই। যাঁরা বাইরে যাবেন, তাঁরা মুখে মাস্ক পরে যাবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলুন। আমাদের কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ আছে। তাদের মানুষের পাশে দাঁড়তে বলব। তা না হলে পরবর্তী সময়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।’