বুধবার ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি কম ছিল। বুধবার ভোররাতের পর ঢাকায় আর সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নেই ঢাকায়।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে, ৭০ মিলিমিটার। এ সময়ে ঢাকায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাঙ্গামাটিতে ৫৫, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮, বদলগাছীতে ২৭, বগুড়ায় ২৬, রাজশাহীতে ৩৪, শ্রীমঙ্গলে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে, ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।