সাকিব আল হাসানের করা ম্যাচের চতুর্থ ওভারে ড্যান ক্রিস্টিয়ানের ব্যাটে ৫ ছক্কা না খেলে হয়তো ম্যাচের দৃশ্যপট হতে পারত ভিন্ন। ওই ওভারটাতেই মূলত ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। সাকিব ৪ ওভারে ৫০ রান দিলেও পাননি কোনও উইকেট। বরাবরের মতো মোস্তাফিজ আজও ছিলেন কিপ্টে বোলার। মেহেদী হাসানও ছিলেন দুর্দান্ত।
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে অজিদের ১০৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। এই ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও ক্ষণে ক্ষণে খেই হারিয়ে খুঁজেছে নিজেদের। শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছতে সময় লাগে ১৯ ওভার।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। তার ফেরার পর মিচেল মার্শও থিতু হতে পারেননি। ১১ রান করে বোল্ড হন মেহেদী হাসানের বলে।
মার্শকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তবে অ্যাস্টন টার্নারের (৯) সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন অ্যাস্টন অ্যাগার। বলা যায় অ্যাগারের ২৭ রানে ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অজিরা। শেষে অ্যান্ড্রু টাই (৪) ও টার্নার মিলে এক ওভার বাকি থাকতে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
এর আগে সন্ধ্যায় টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখা যায় মন্থর ব্যাটিং। সৌম্য সরকার ৮ রানে ফেরার পর সাকিবও ফেরেন ১৫ রান করে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মিচেল সোয়েপশনের বলে এলবিডব্লু হয়ে।
আফিফ হোসেন ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন দলীয় ৭৮ রানের মাথায়। এরপর শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের দলীয় রান শতক পার হওয়া নিয়ে।
শেষ পর্যন্ত শেখ মেহেদী হাসানের ১৬ বলে ২৩ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ১০৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
অজিদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন অ্যান্ড্রু টাই ও মিচেল সোয়েপশন। ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড ও ১ উইকেট নেন অ্যাস্টন অ্যাগার।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ব্যবধান দাড়াল ৩-১। সিরিজের শেষ ও পঞ্চম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, ৯ আগস্ট।