বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। গত বছর একই সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
মার্চের আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায়ও রেমিট্যান্স ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও দেখা যায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যা অর্থবছর হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।
এর ধারা অব্যাহত রাখতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা যেন সহজে অর্থ পাঠাতে পারে, সেজন্য বেশ কিছু শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রণোদনার অর্থ পরিশোধের জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ফলে বৈধ পথে বাড়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ। কিন্তু করোনাভাইরাসের আঘাতে এটি নেতিবাচক ধারায় চলে গেল।