কাউন্টারপয়েন্টের জুন ২০২১-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বিক্রিত মোট স্মার্টফোনের মধ্যে ১৭.১ শতাংশ জায়গা দখল করতে পেরেছে শাওমি। ১৫.৭ শতাংশ জায়গা দখল করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্যামসাং। আর ১৪.৩ শতাংশ জায়গা দখল করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপেল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা নীতিতে স্যামসাংয়ের বিক্রি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। একইসঙ্গে সাপ্লাই চেইনের সীমাবদ্ধতার জন্য স্যামসাং স্মার্টফোনের বিক্রি কমেছে। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। তারা করোনা মহামারির মধ্যেও বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ভিয়েতনামের মতো দেশে যেখানে স্যামসাংয়ের একচেটিয়া মার্কেট ছিল, সেদেশেও করোনা পরবর্তী সময়ে নিজেদের ব্যবসা বহুগুণ বাড়িয়েছে শাওমি।
এ বিষয়ে কাউন্টারপয়েন্টের রিসার্চ ডিরেক্টর তরুণ পাঠক বলেন, হুয়াওয়ে ব্যবসা তলানিতে নামতেই একটা শূন্যতা তৈরি হয়। শূন্য জায়গা ধরতেই উঠে পড়ে নামে শাওমি। যদিও চিন, ইউরোপ ও আফ্রিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ব্যবসা বাড়াতে চাইছে হুয়াওয়ে।
এদিকে সম্প্রতি শাওমির নতুন কিছু মডেল বাজারে এসেছে। এরমধ্যে এমআই ১১, এমআই ১১ আল্ট্রা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কম দামের বেশি ফিচার যুক্ত এসব স্মার্টফোন দ্রুত তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়া তাদের বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে বলে মনে করছেন টেক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে কাউন্টারপয়েন্টের এই রিপোর্ট দেখার পর নড়ে চড়ে বসেছে স্যাসমাং। তারা চলতি মাসেই স্যাসাংয়ের ফোল্ট সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার চিন্তা করছে।