ঋণের সুদহার বেঁধে দেওয়ার পর আমানতের সর্বনিম্ন সুদহারও বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংকের তিন মাস ও তার বেশি মেয়াদি আমানতের সুদ হার কোনোভাবেই মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হবে না। গত জুন মাসে ভোক্তা মূল্যসূচকের হিসাবে গড় মূল্যস্ফীতির ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ হিসাবে এখন ব্যাংকের সর্বনিম্ন সুদ হবে সাড়ে ৫ শতাংশের উপরে।
জানা যায়, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য থাকায় আমানতের সুদহার ছিল খুবই কম।এতে করে বিপাকে পড়েছে সাধারণ আমনতকারীরা। তাই ভবিষ্যতে ব্যাংকের আমানতের উপর বিরূপ প্রভাব রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোবাবর (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে। এই নির্দেশনা আজ থেকেই এ নির্দেশ বাস্তবায়নে করতে বলা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ব্যাংকিং খাতে দায়-সম্পদের ভারসাম্যহীনতা রোধে ৩ মাস ও তদূর্ধ্ব মেয়াদি আমানতের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যক্তিপর্যায়ের মেয়াদি আমানত এবং বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল, অবসর–উত্তর পাওনাসহ বিবিধ পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত তহবিল বাবদ রক্ষিত যেকোনো পরিমাণ মেয়াদি আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির হার অপেক্ষা কোনোভাবেই কম নির্ধারণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে আগের তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কমছে। ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যাংকের মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে কম হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র আমানতকারীসহ অন্যান্য আমানতকারীর একটি অংশ জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের সুদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে কম হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে বলে আমানতকারীদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া মেয়াদি আমানতের সুদহার বেশি কমে গেলে জনসাধারণ সঞ্চয়ে নিরুৎসাহিত হন। ফলে অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ খাতসহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে। ব্যাংক তহবিলের প্রধান উৎস হলো, বিভিন্ন ধরনের আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানত। আমানতের সুদহার বেশি কমে গেলে ভবিষ্যতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ফলে ব্যাংকের দায়-সম্পদ ব্যবস্থাপনায়ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য আমানতের সুদহার বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঋণ সুদর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করা হলো বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে ব্যাংকগুলো গড়ে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ সুদে আমানত নিয়েছে। এক বছর আগে যেখানে আমানতের গড় সুদহার ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক দেড় থেকে তিন শতাংশ আমানতের উপর সুদ দিচ্ছে।
জানা যায়, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য থাকায় আমানতের সুদহার ছিল খুবই কম।এতে করে বিপাকে পড়েছে সাধারণ আমনতকারীরা। তাই ভবিষ্যতে ব্যাংকের আমানতের উপর বিরূপ প্রভাব রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোবাবর (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে। এই নির্দেশনা আজ থেকেই এ নির্দেশ বাস্তবায়নে করতে বলা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ব্যাংকিং খাতে দায়-সম্পদের ভারসাম্যহীনতা রোধে ৩ মাস ও তদূর্ধ্ব মেয়াদি আমানতের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যক্তিপর্যায়ের মেয়াদি আমানত এবং বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল, অবসর–উত্তর পাওনাসহ বিবিধ পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত তহবিল বাবদ রক্ষিত যেকোনো পরিমাণ মেয়াদি আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির হার অপেক্ষা কোনোভাবেই কম নির্ধারণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে আগের তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কমছে। ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যাংকের মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে কম হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র আমানতকারীসহ অন্যান্য আমানতকারীর একটি অংশ জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের সুদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে কম হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে বলে আমানতকারীদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া মেয়াদি আমানতের সুদহার বেশি কমে গেলে জনসাধারণ সঞ্চয়ে নিরুৎসাহিত হন। ফলে অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ খাতসহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে। ব্যাংক তহবিলের প্রধান উৎস হলো, বিভিন্ন ধরনের আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানত। আমানতের সুদহার বেশি কমে গেলে ভবিষ্যতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ফলে ব্যাংকের দায়-সম্পদ ব্যবস্থাপনায়ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য আমানতের সুদহার বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঋণ সুদর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করা হলো বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে ব্যাংকগুলো গড়ে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ সুদে আমানত নিয়েছে। এক বছর আগে যেখানে আমানতের গড় সুদহার ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক দেড় থেকে তিন শতাংশ আমানতের উপর সুদ দিচ্ছে।
