বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এ বিষয়ে এক নির্দেশনা জারি করেছে কমিশন।
নতুন নির্দেশনায় ডিএসইএক্স সূচক ৮০০০ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ গ্রহনের রেশিও ১:০.৮০ করা হয়েছে। যা এর আগে ছিল ডিএসইএক্স ৭০০০ পর্যন্ত। এর উপরে বা বেশি সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ রেশিও ১:০.৫০ নির্ধারন করা হয়েছিল।
এ হিসাবে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার পর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচকে মার্জিন ঋণ রেশিও ১:০.৫০ থেকে বাড়িয়ে ১:০.৮০ করা হয়েছে। এরফলে বিনিয়োগকারীরা ৭ হাজার সূচকের পরেও নিজস্ব ১ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ পয়সা মার্জিন পাবে।
একইসঙ্গে ডিএসইএক্স ৮ হাজার এর উপরের ক্ষেত্রে বা বেশি সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ রেশিও ১:০.৫০ নির্ধারন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও ১:০.৫০ থেকে বাড়িয়ে ১:০.৮০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। যে নির্দেশনা ডিএসইএক্স ৭০০০ পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
তবে সর্বপ্রথম গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সূচকের সঙ্গে সমন্বয় করে মার্জিন ঋণের নির্দেশনা জারি করে শিবলী কমিশন। যার আগে সবক্ষেত্রেই মার্জিন রেশিও ১ টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বা ১:০.৫০ ছিল।
বর্তমান কমিশনের সূচকের সঙ্গে মার্জিন ঋণের সমন্বয়ের প্রথম নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজারের নিচে থাকাকালীন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১:১ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ গ্রাহকের নিজস্ব ১ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ টাকা মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। এছাড়া ৪০০১-৫০০০ পর্যন্ত সূচকের ক্ষেত্রে ১:০.৭৫ হারে, ৫০০১-৬০০০ পর্যন্ত সূচকের ক্ষেত্রে ১:০.৫০ হারে এবং ৬০০০ এর উপরে সূচকের ক্ষেত্রে ১:০.২৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে।
যা কার্যকর হওয়ার আগেই সংশোধনী আনে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কমিশন। ওই সংশোধনীতে ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজারের নিচে থাকাকালীন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১:০.৭৫ হারে মার্জিন দিতে পারবে বলে জানানো হয়। এছাড়া ৪০০১-৭০০০ পর্যন্ত সূচকের ক্ষেত্রে ১:০.৫০ হারে এবং ৭০০০ এর উপরে সূচকের ক্ষেত্রে ১:০.২৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে বলে বলা হয়েছিল।