গতকাল ৪ এপ্রিল ২০২০, বিকালে ডিইউজের নির্বাহী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সদস্যরা পত্রিকার প্রিন্টভার্সন বন্ধ রাখাসহ সরকারী ছুটি চলাকালে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোথাও কোথাও পুলিশের দুর্ব্যবহার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যে কোনও ধরণের উদ্যোগ না নেওয়ায় ডিইউজে নেতারা উদ্বেগ জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের মাঝে অনেক গণমাধ্যম সাংবাদিক ছাটাই করেছেন। যা শ্রম আইন ও মানবিক চেতনার পরিপন্থী। এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রারম্ভিক প্রস্তাবনায় ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু জানান, করোনাভাইরাসের মত কঠিন দুর্যোগের মধ্যেও অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যে ন্যুনতম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই ফটোসাংবাদিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যে প্রয়াজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো দাবি জানানো হয়।
সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেতন-ভাতা বকেয়া থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডিউজের নেতারা। অবিলম্বে বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়। সাংবাদিকদের নিরাপদে কমর্স্থলে আনা নেওয়ার জন্যে পরিবহণ সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয় ডিইউজের এই ভার্চ্যুয়াল সভায়। আলোচনায় অংশ নেন ডিইউজে নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিরা।
এদিকে, আজ ররিবার এক বিবৃতিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে গণমাধ্যম কর্মিদের আর্থিক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনও দিক-নির্দেশনা না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, যে গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার ও প্রশাসনের কর্তারা যোগাযোগ করে চলেছেন, এই কঠিন জীবণ মরণের দুর্যোগকালেও তাদের বিষয়ে আলাদা আথির্ক সুরক্ষার কোনও তথ্য না থাকায় সাংবাদিক সমাজ ব্যথিত হয়েছেন।