গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মাহমুদ জিবরিলের বিদ্রোহী সরকার। এরপর ২০১২ সালে তারই গঠিত ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়েন্সর সেক্রেটারি খালেদ-আল মিরিমি রোববার জিবরিলের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২১ মার্চ তিনি কায়রোর গানজৌরি স্পেশালাইজড হাসপতালে ভর্তি হন। এর তিনদিন পর তার দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক হিশাম ওয়াগদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘গত পড়শুদিন তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও তারপর আবার তা খারাপ হতে থাকে। রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন।’
গাদ্দাফির সরকারের শেষ দিনগুলোতে জিবরিল ছিলেন তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। কিন্তু ২০১১ সালে বিদ্রোহে যোগ দেন তিনি। এরপর ন্যাটো জোট গাদ্দাফিকে হত্যার পর যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় তার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহমুদ জিবরিল।
জিবরিলের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে লিবিয়ায় একজন মারা গেছেন। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ১৮ জন।