এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে কান্তাসের আন্তর্জাতিক বহর বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে প্রতিষ্ঠানটি তার ১২টি এয়ারবাস এ৩৮০ সুপার জাম্বো উড়োজাহাজের মধ্যে পাঁচটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করেছে।
যদিও কান্তাসের এ পরিকল্পনা সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল এবং ফ্লাইট চালু বিলম্বিতও হতে পারে। এ খবরের পর কান্তাসের শেয়ারদর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে গত এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে যায়।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়া ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে পূর্ণ ডোজের টিকা দেয়ার পর সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। বর্তমানে কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা লকডাউনের আওতায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ অস্ট্রেলীয় কভিডের পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। যদিও পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছরের শেষ দিকে দেশটিতে টিকাদানের হার ৮০ শতাংশে পৌঁছতে পারে।
সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা কান্তাস জানিয়েছে, কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রমে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুর, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংস্থাটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবারো ফ্লাইট চালুর প্রত্যাশা করছে। এছাড়া টিকাদান কার্যক্রমে পিছিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে পুনরায় ফ্লাইট চালু হবে।
কান্তাসের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস বলেন, সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তাগুলোর মধ্যে একটি হলো পূর্ণ ডোজের টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হবে কিনা। যদি হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থাকতে হয়, তাহলে চাহিদার মাত্রা খুব কম হবে। পরিবর্তে অতিরিক্ত পরীক্ষা ও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হলে অনেক বেশি মানুষ ভ্রমণ করতে আগ্রহী হবে।