জানা গেছে, প্রতিটি ব্যাংক বছর শেষে লাভ ক্ষতির হিসাব চূড়ান্ত করে লাভের অংশ থেকে সিএসআর খাতে বরাদ্দ নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে আইন দ্বারা কোনো অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া নেই। ব্যাংক তার সামর্থ্য ও সদিচ্ছা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সিএসআর খাতে ব্যয়কে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রজ্ঞাপন জারি করে সিএসআর খাতে ব্যয় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারপর একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, আয় উৎসারী কার্যক্রম, অবকাঠামো, সংস্কৃতি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিএসআরের অর্থ ব্যয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে কার্যক্রম চলা ৬০ ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষাখাতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭ ব্যাংক এক টাকাও ব্যয় করেনি। মাত্র আটটি ব্যাংক এ খাতে কোটির ঘর অতিক্রম করেছে, আর ১৯ ব্যাংকের ব্যয় লাখের ঘরেই। এছাড়া বাকি ছয়টি ব্যাংক নামমাত্র টাকা ব্যয় করেছে।
আলোচ্য সময়ে যেসব ব্যাংক শিক্ষাখাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি এমন ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক এবং বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এইচএসবিসি ২৭ লাখ টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করলেও আল-ফালাহ ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, এনবিপি, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও উরি ব্যাংক এক টাকাও শিক্ষাখাতে ব্যয় করেনি।