রাজশাহী প্রতিনিধি জানায়, সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এক সমন্বয় সভায় প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় বলা হয়, যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করবেন। কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানায়, সোমবারে রাতে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সর্বসাধারণের ঢোকা ও বের হওয়া বন্ধ ঘোষণা করে মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা এই অবস্থা চলবে। তবে জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও যানবাহন এর আওতার বাইরে থাকবে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জরুরি সেবা, চিকিৎসা, খাদ্যপণ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ছাড়া সব ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান।
এসব কাজে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের যানবাহন ছাড়া আর কোনও ব্যক্তি বা পরিবহন চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা থেকে আজ রাত ১০টার পর বের হতে পারবে না এবং অন্য এলাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশও করতে পারবে না।
খুলনা প্রতিনিধি জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা মহানগরীতেও আসা-যাওয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সোমবার রাতে এই ঘোষণা দেয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সোমবার রাত থেকে সরকার নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি ও যানবাহন ছাড়া সব ব্যক্তিবর্গ ও যানবাহনের খুলনা মহানগরী এলাকা থেকে বের হতে ও মহানগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধের ঘোষণা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দুপুর দুইটার মধ্যে সাধারণ মুদি দোকান এবং সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সুপার শপ ও সব ধরনের কাঁচাবাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।