সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ১৬ আগস্ট এ অধিবেশন আহ্বান করেন।
৬০ দিনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণে এ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন বসতে হবে। সে হিসেবে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আসন্ন অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, বুধবার অধিবেশন শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পর্যন্ত ৪ কার্যদিবস চলে শেষ হয়ে যাবে।
সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ এবং ২০২১ সালের চতুর্থ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে অধিবেশনের সকল কার্যক্রম ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ এর সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ সম্প্রচার) হতে কাভার করার জন্য সাংবাদিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে অধিবেশনকালীন গণমাধ্যমের সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দকে পাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর মধ্যে প্রথম দিন বুধবার বিকেল ৫টায়, দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায়, তৃতীয় দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং শেষ দিন শনিবার সকাল ১১টায় সংসদের বৈঠক শুরু হবে।
জাতীয় সংসদের সর্বশেষ ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশন গত ২ জুন শুরু হয়ে গত ৩ জুলাই শেষ হয়। ওই অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ ও পাস করা হয়। মোট ১২ কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটসহ মূল বাজেটের উপর মোট ১৫ ঘণ্টা ৩২ মিনিট আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন ৮৫ জন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্য। বাজেট পাসসহ সেই অধিবেশনে ৭টি সরকারি বিল পাস হয়।