করোনা মহামারির মধ্যে অনুষ্ঠিত অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ চলবে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সংসদ সদস্যরাই অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। প্রতিদিন ১০০/১২০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে বসবে সংসদের বৈঠক।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার প্রথমে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন করেন। এবার অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন- শহীদুজ্জামান সরকার, শামসুল হক টুকু, আব্দুল মমিন মন্ডল আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শেখ এ্যনি রহমান। স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে এদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে একটি অধ্যাদেশ উত্থাপন করেন। এরপর স্পিকার শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। চলতি সংসদের কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. আলী আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদ, তোফাজ্জল হোসেন সরকার, জামাল উদ্দিন আহম্মদ, খুররম খান চৌধুরী, মো. রেজা খান জাহানারা বেগম এবং আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, গীতিকার ফজল-এ-খোদা, হাইকোর্টের বিচারপতি আমির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এস এ সামাদ, ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং, জার্মানির ফটুবলার গার্ড মুলার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জমান আহমেদের মা শামসুন্নাহার বেগম, সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর মা আনোয়ারা খানম, সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের মা মানোয়ারা বেগম, সাবেক তথ্য কমিশনার আবু তাহের, কুরিয়ারচর গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মুছা মিয়া, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম, সংসদ সচিবালয়ের সাবেক সচিব আবুল হাশেম, সংসদ সচিবালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শংকরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেদ ফুডসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহত, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে হতাহত, হাইতিতে ভূমিকম্পে হতাহতসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য শোক প্রকাশ করা হয়।
চলমান সংসদের কোনো আইনপ্রণেতা মারা গেলে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে সংসদের বৈঠক মুলতবির রেওয়াজ রয়েছে। অধ্যাপক আলী আশরাফের জীবনের ওপর আলোচনার পর স্পিকার সংসদ অধিবেশন মুলতবি করেন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মহামারিকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশ নেবেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া সংসদ সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।