স্বল্প সময়ের মধ্যেই নেমে আসা এক বিপর্যয় ঠেকাতে শহরের বাসিন্দাদের কষ্টের ভাগিদার হতেই বিভিন্ন পেশার মানুষ শামিল হয়েছিলেন সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের সহায়তা কার্যক্রমে। বাসমাহ ফাউন্ডেশন, আলফালাহ ফাউন্ডেশন, খলিল ফুড ফাউন্ডেশন এবং জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সহযোগিতায় সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের কর্মীরা জ্যামাইকার বিভিন্ন এলাকায় এ সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছেন।
সাদাকাহ ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র প্রধান নির্বাহী মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, দুর্যোগ কাটিয়ে নিউইয়র্কের মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে একটু সহযোগিতার হাত বাড়াতে কাজ করেছে সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের কর্মীরা। তাদের এই কাজে পাশে দাড়ানোয় বাসমাহ ফাউন্ডেশন, আলফালাহ ফাউন্ডেশন, খলিল ফুড ফাউন্ডেশন এবং জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী।
তিনি আরও বলেন, খাদ্য সহয়তা ও জরুরিপণ্য নিয়ে ভারীবর্ষণে জ্যামাইকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে সাদাকাহ ইউএস’র বিভিন্ন স্তরের স্বেচ্ছাসেবীরা। রেডি ফুড, পানি, টিস্যুসহ হাইজেনিক পণ্য বিতরণ করেছেন তারা । প্রথম দিকের দিনগুলোতে সংস্থার নিবাহী পরিচালক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, দারুল উলুমের প্রেসিডেন্ট এইচ বরকতুল্লাহ , মুফতি নোমান, হাফেজ আবুল খায়ের, মুহাম্মদ সুরাইম, ইমাম জাফির আলী ও স্থানীয় রহমান, গুলজারসহ আরও অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন।
পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রমে সাদাকাহ’র রান্না করা খাবার , পানি, টিস্যু, হাইজেনিক পণ্য বিতরণ করা হয় । তখন ইমাম জাফির আলী, কমিউনিটি লিডার ওসমান গনী, ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাইফুল ইসলাম, লিডার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সৈয়দ আলামীন রাসেল, রহমান, বার আলি, গুলজার , সূচনা, কবির হোসেন, ও আফরোজা বেগমসহ আরও অনেকেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। এদের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট ২৩ এর জনপ্রতিনিধি লিন্ডা লি ও নিউইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা ক্যাপ্টেন আমিন উপস্থিত ছিলেন।