দেশের ৬৪ জেলার কৃষকদের জন্য এই প্রণোদনার অর্থ ছাড় করে বুধবার আদেশ জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এই প্রণোদনা পেয়ে আউশ আবাদে কৃষকরা উৎসাহিত হবে এবং তাতে হেক্টর প্রতি ফলন ও উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি পতিত জমিগুলো আবাদের আওতায় আসবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন।
এক লাখ ৯ হাজার ২৬৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য এক লাখ ৯ হাজার ২৬৫ জন কৃষককে এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার পাবেন।
প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ বাবদ ৩০০ টাকা, ২০ কেজি ডিএপি সারের জন্য ২৮০ টাকা, ১০ কেজি এমওপি সারের জন্য ১৩০ টাকা, এসব উপকরণ পরিবহনের জন্য ১০৫ টাকা এবং আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবে ৩৫ টাকা ধরে মোট ৮৫০ টাকা করে দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনিয়ন কৃষি পুনর্বাসন কমিটির মাধ্যমে এ কর্মসূচির জন্য মনোনীত প্রত্যেক কৃষকের স্ট্যাম্প সাইজের ছবিযুক্ত ‘কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের’ ভর্তুকি অংশে যথাযথভাবে উপকরণের পরিমাণ লিখে যথারীতি মাস্টাররোল সংরক্ষণ করে উপকরণ বিতরণ করবেন।
মাস্টাররোলে অবশ্যই উপকরণ গ্রহণকারী কৃষকের স্ট্যাম্প সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
এ কর্মসূচির আওতায় সকল উপকরণ বিতরণ করতে হবে উপজেলা সদর থেকে। সকল উপকরণ কৃষক নিজে গ্রহণ করবেন। কোনো অবস্থায় প্রকৃত তালিকাভুক্ত কৃষক ছাড়া অন্য কাউকে উপকরণ দেওয়া যাবে না বা একজনের উপকরণ অন্যজনকে দেওয়া যাবে না বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।