ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি মাসে ১ তারিখ শ্বাসকষ্টের কারণে প্রথমবার আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জালাল আহমেদ চৌধুরী। পরে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় ১৫ সেপ্টেম্বর আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আর উন্নতি ঘটেনি তার। গত শুক্রবার থেকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে, ছিলেন আইসিইউতে। ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।
তিনি সাবেক ক্রিকেটার ছিলেন, ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে সত্তর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত খেলেছেন ঢাকা ক্রিকেট লিগে। তারপর শুরু করেন কোচিং। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট প্রশিক্ষক হিসেবে ভারতের পাতিয়ালায় উচ্চতর কোচিংয়ের ওপর ট্রেনিং করেন তিনি।
পরে মোহামডান, ধানমন্ডি, কলাবাগানসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্লাবে কোচিং করান জালাল আহমেদ চৌধুরী। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ জালাল আহমেদ চৌধুরী। একাধারে ক্রিকেটার, প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, সাংবাদিক ও লিখিয়ে হিসেবে সবার প্রশংসাধন্য।