মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে ২৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী ১০ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে চারজন ও বাসায় একজনের মৃত্যু হয়। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৬২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮১০টি ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৩৭৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৩ হাজার ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৪টি।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৬০৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ চার হাজার ৭০৯ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও আশি-উর্ধ্ব একজন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে তিনজন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় দুইজন, সিলেটে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।