ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে তিন টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এপ্রিল মাস থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ছে। গত ২২ এপ্রিল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল সাত টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে এখন ১৮ টাকা ২০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ, পাঁচ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে।
শেয়ারের এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় কোম্পানিটি সবশেষ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ ও ২০১৮ সালেও গ্রাহকদের ১৪ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
আর সবশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪২ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৯ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
প্যাসিফিক ডেনিমসের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে ছিল ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ। ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ মেনুফ্যাকচারিং।
গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্য সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, কেডিএস এক্সসরিজের ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ, কাট্টালী টেক্সটাইলের ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আমরা টেকনোলজির ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে।