ক্রেতাদের আগ্রহ হারানোর ফলে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে কমেছে ৪২ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮৭ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ২২৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, দাম পতনের আগে কোম্পানিটির শেয়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে। যে কারণে ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে বার্তাও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতেও দাম বাড়ার প্রবণতা থামেনি।
অথচ দুর্বল কোম্পানি হওয়ায় দীর্ঘ দিন ওটিসি মার্কেটে পড়ে ছিল বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হস্তক্ষেপে গত ১৩ জুন থেকে কোম্পানিটির শেয়ার আবার মূল বাজারে লেনদেন শুরু করে ডিএসই।
মূল বাজারে ফিরেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ১৩ জুন লেনদেন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দাম ছিল ৫৫ টাকা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ৭ সেপ্টেম্বর ২৩৪ টাকায় উঠে যায়।
এ পরিস্থিতিতে ৮ সেপ্টেম্বর মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৪০-এর ওপরে থাকা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
ডিএসইকে দেওয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে ৪০-এর বেশি পিই কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন ১৫ দিনের জমা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি ৪০-এর বেশি পিইর কোন কোম্পানিকে বিএসইসির নির্দেশনা অমান্য করে মার্জিন ঋণ দেয়া হচ্ছে কি না, তা অনুসন্ধান করতে বলা হয়।
বিএসইসির এ নির্দেশনার পর অস্বাভাবিক দাম বাড়তে থাকা বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ার দামে কিছুটা লাগাম পড়ে। আর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় দরপতনের শীর্ষ স্থান দখল করে।
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে চলে আসায় বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনতে রাজি হননি। এতে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৫১ লাখ ৪৪ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ দাম কমার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, পপুলার লাইফ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ দাম বেড়েছে।