তিনি বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না। ২০১৮ সালে বিশ্ব যখন ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছে, একই সময়ে বাংলাদেশও এ প্রযুক্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন বছরে ফাইভ-জি প্রযুক্তির নীতিমালা প্রণয়ন ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করেই ফাইভ জি যুগে আমরা প্রবেশের প্রস্তুতি এরইমধ্যে শেষ করেছি।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় টেলিকম সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-টিআরএনবি আয়োজিত ‘ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে আমাদের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো।
এ প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরোতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ফাইভ-জির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তরঙ্গসহ ফাইভ-জি অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকারের নেওয়া কর্মসূচির প্রশংসা করেন।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসির কমিশনার ও ফাইভ-জি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এ কে এম শহীদুজ্জামান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দীন, এমটব চেয়ারম্যান ও বাংলালিংকের সিইও এরিক অস, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, হুয়াওয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও (Tauguangyao) এবং এরিকসনের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।