শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আড়াইহাজার থানা পুলিশ তাকে আটক করেন। গ্রেফতারকৃত সজিবুল ইসলাম সজিব খাগকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত শহিদুল ইসলাম ওরফে নুরু মোক্তারের ছেলে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান মোল্লা গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, গ্রেফতারের পর মামলার প্রধান আসামি সজিবকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুবাই প্লাজার জাকির খান কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মালিক জাকির খান এক বছর আগে এনআরবিসি ব্যাংক আড়াইহাজার শাখা থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নেন। তার ঋণের জামিনদার হন খাগকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুলের মা তাছলিমা আক্তার ও ভাই সজিবুল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলেন তাছলিমা আক্তার ও সজিবুল। কিন্তু হঠাৎ তারা কিস্তি বন্ধ করে দেন। কিস্তি পরিশোধের কথা বলা হলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে চার-পাঁচ মাসের কিস্তি বাকি থাকায় গত বুধবার দুবাই প্লাজায় জাকির খানের কাছে যান এনআরবিসি ব্যাংকের ম্যানেজার কচি শিকদার, ক্রেডিট অফিসার আজহারুল হক ও মনিরুল ইসলাম। জাকির খানের কাছে কয়েক মাসের বকেয়া ও চলতি কিস্তি চাইলে উত্তেজিত হন তিনি। এ সময় জাকির খানের পক্ষ নিয়ে তাছলিমা আক্তার তাদের গালাগাল করেন এবং মারতে উদ্যত হন। পরে ব্যাংকে ফিরে যান কর্মকর্তারা। এর জেরে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্যাংক কর্মকতা মনিরুলকে বাসা থেকে ডেকে বের করে চেয়ারম্যান আরিফুলের ভাই সজিবুলের নেতৃত্বে সাত-আটজন হকিস্টিক ও রড দিয়ে পেটায়। তার কাছে থাকা ৫৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। মনিরুলকে মারধরের সময় তার স্ত্রী আয়েশা বানু এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা।
পরে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলাটি মনিরুল ইসলাম আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা (নং-১৫ তারিখ ১৬/৯/২১) দায়ের করেন। মামলার নামীয় অপর আসামিরা হলো- জাকির খান সাগর, তাছলিমা আক্তার ও মুজাহিদ।