আইপিএল খেলতে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন মঈন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন সেখানেই। অ্যাশেজের দলেও জায়গা পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। তাতে করে অনেক লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে কাটাতে হবে তাকে। ঠিক এ কারণেই টেস্ট আর খেলতে চান না বলে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে।
এরই মধ্যে অবসরের বিষয়টি ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড ও অধিনায়ক জো রুটকে জানিয়েছেন মঈন। আপাতত সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে চান। এছাড়া কাউন্টি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও খেলতে চান। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাকে দেখা যাবে কি না এখনও সেই সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
মঈন কতটা প্রতিভাবান তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারো। পরিসংখ্যানই বলে সেই কথা, যেমন ধরুন ইয়ান বোথাম, গ্যারি সোবার্স ও ইমরান খানের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে ২০০০ টেস্ট রান ও ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। মাত্র ১৫ জন ইংলিশ বোলার তার চেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন। আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়েও তৃতীয় সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন।
তবে আক্ষেপ থেকে যাবে ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক অল্পের জন্য হাতছাড়া করায়। ২৯১৪ রান ও ১৯৫ উইকেট তার। অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেললে মঈনের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হবে কিয়া ওভালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি, যেখানে তার রান ছিল ৩৫।
এই অলরাউন্ডারের সেরা বছর কেটেছে ২০১৬ সালে, যখন চারটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। পরের বছর বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার টেস্টে নেন ২৫ উইকেট। এছাড়া শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ছয় টেস্টে ৩২ উইকেট নিয়েও নিজের জাত চেনান মঈন। স্পিনার হিসেবে শীর্ষ উইকেটশিকারির তালিকায় তার উপরে কেবল ডেরেক আন্ডারউড ও গ্রায়েম সোয়ান।