ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
জেলা-উপজেলায় এসব ব্যাংকের সব শাখা আগামী ১২ এপ্রিল হতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখায় প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, ট্রেজারি কার্যক্রম, সরকারি ভাতা ও অনুদান বিতরণ এবং জনসাধারণের অতি জরুরি আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন অথবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও সীমিত আকারে ব্যাংকিং চালু রাখতে হবে। যদিও গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একই বিভাগ থেকে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় ব্যাংকের শাখাসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। জনসাধারণের আর্থিক দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় ব্যাংকের সকল শাখায় আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শাখাগুলোতে সরকারি চালান গ্রহণ, পে অর্ডার ইস্যু, জরুরি বৈদেশিক লেনদেন, টাকা জমা, উত্তোলন এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান বিতরণ কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সকল শাখায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত শাখাগুলোতে ব্যাংকের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাহনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।