আইডিআরএ’র উপ-পরিচালক শাহ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৪ অক্টোবর) আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক এস এম শাকিল আখতার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ফারইস্ট ইসলামী লাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-পরিচালক (আইন) মোহাম্মদ শফিউদ্দীন, অফিসার আবু মাহমুদ ও জুনিয়র অফিসার শামছুল আলম।
চিঠিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো অভিযোগের ভিত্তিতে বিমা আইন-২০২০ এর ৪৮ ধারা অনুসারে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হলো।
সূত্র জানায়, কমিটি ফারইস্ট লাইফের সাবেক চেয়ারম্যানের অবৈধ মানিলন্ডারিং এবং কোম্পানির প্রশাসনের দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা যাচাই করবে। ভূমি কেনা-বেচায় প্রতারণামূলকভাবে বিনিয়োগ দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ, কোম্পানির ফিক্সড ডিপোজিট হতে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগ করে কোম্পানির অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আইডিআরএ গঠিত সদ্য কমিটি এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি গঠন করে। সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পায় বিএসইিস। ফলে পর্ষদ ভেঙ্গে নতুন পর্ষদ গঠন করার নির্দেশ দেয় বিএসইসি।
এদিকে ফারইস্ট লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর নজরুল ইসলাম দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি। ফারইস্ট লাইফের পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে নজরুল ইসলামের দেশে ফেরা প্রায় অনিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সাধারণ গ্রাহকরা এখন বিমার অর্থ ফেরত পেতে ধরনা ধরছেন বিভিন্ন জায়গায়। একই সঙ্গে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অভিযোগের পাহাড় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে।