গত বছরের তালিকাতেও তার নাম ছিল একেবারে নিচের দিকে। ৩৩৯ নম্বরে রাখা হয়েছিল ট্রাম্পকে। ফলে তালিকা থেকে একেবারে বাদ পড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত তখন থেকেই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই অবস্থা ৭৫ বছরের রিয়েল এস্টেট মোঘলের? প্রেসিডেন্ট পদ হারানো সঙ্গে অবশ্য এর কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে মহামারির সময় থেকেই তার সম্পত্তি একেবারেই ‘স্থবির’ হয়ে পড়ে। একই সমস্যা হয়েছিল অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও। কিন্তু তারা নিজেদের ব্যবসাকে অন্যদিকে স্থানান্তরিত করেছিলেন। সেই সুযোগ ছিল ট্রাম্পেরও সামনে। কিন্তু তেমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই অদূরদর্শিতার পরিণামই এখন তাকে ভুগতে হচ্ছেই বলে মনে করা হচ্ছে।
ফোর্বসের মতে, পাঁচ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে ভাল সুযোগ এসেছিল অন্য খাতে বিনিয়োগ করার। কিন্তু তিনি তা করেননি। পরে প্রেসিডেন্ট হয়ে যাওয়ার ফলে স্বার্থ সংঘাতজনিত বিষয়ে আরও সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছিল তাকে। নিজের ‘স্থবির’ সম্পত্তি বেচতে নারাজ ট্রাম্পকে এর ফলে দুই বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। আর তার ফলশ্রুতিই এবার মার্কিন মুলুকের ধনকুবেরদের তালিকায় ঠাঁই হলো না তার।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, তালিবানকে রোজ টুইট করতে দেয়, কিন্তু আমাকে টুইট করতে দেয় না। আমার ওপরই যত নিষেধাজ্ঞা।