সূত্র মতে, সম্প্রতি ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে মনোনয়ন পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকেরা হলেন- বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম। বুধবার (০৬ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বিগ্রেডিয়ার মো. জাহিদুর রহমান ও অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগমের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডিএসই’র প্রতিবেদন ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির বিরুদ্ধে বার্ষিক প্রতিবেদনে করপোরেট গভর্নেন্স কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী কমিশনে অভিযোগও করেছেন।
তথ্য মতে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ওয়েবসাইটে নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন কমিটি (এনআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত চেয়ারম্যান, অন্যান্য পর্ষদ সদস্য এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) জন্য কোড অব কন্ডাক্ট (আচরণবিধি) প্রকাশ করা হয়নি। ফলে কোম্পানিটি বিএসইসির করপোরেট গভর্নেন্স কোড, ২০১৮ এর শর্ত ১( ৭)(বি) লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোম্পানিটি করপোরেট গভর্নেন্স কোডের শর্ত ৫(৪)(এ) অনুযায়ী অডিট কমিটি আর্থিক বছরে ৪টি সভা আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে। তবে প্রকৃত পক্ষে কোম্পানিটি মাত্র তিনটি সভা করেছে। ফলে কোম্পানিটি করপোরেট গভর্নেন্স কোডের শর্ত ৫(৪)(এ) লঙ্ঘন করেছে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএসইসি ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।